টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুল আলোচিত পুতিয়া গ্রুপের প্রধান পুতিয়া ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন ( র্যাব ) । তাকে টেকনাফের জাদিমুড়া বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১৫ এর অভিযানে ১ টি বিদেশী পিস্তল , ২ রাউন্ড গুলি ও ১ টি ম্যাগাজিনসহ গ্রেফতার করে । সে মোচনী নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক- আই এর মৃত আবুল হোসেন ওরফে ধইল্লা হাজীর পুত্র সৈয়দ হোসেন প্রকাশ পুতিয়া ( ২৪ ) ।
সোমবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০ টায় র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- ১৫ সহকারী পরিচালক ( ল ' এন্ড মিডিয়া ) সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল উদ্দিন জানান, রবিবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন ( র্যাব )- ১৫ জাদিমুড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুতিয়া ডাকাতকে আটক করে । এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ১ টি ম্যাগাজিন পাওয়া যায় । আটক সৈয়দ হোসাইন @ পুতিয়া এর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় বিভিন্ন সময় অস্ত্র, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারামারি, গুরুতর জখম, হত্যা ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ৭ টি মামলা রয়েছে । রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কুখ্যাত জকির ডাকাত গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার অন্যান্য পলাতক অপরাধীদের নিয়ে পুতিয়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল । এর পর থেকে সৈয়দ হোসাইন ওরফে পুতিয়া থেকে টেকনাফ এলাকায় ' পুতিয়া ডাকাত ' নামে পরিচিত হয়ে উঠে । তার বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ডাকাত পুতিয়া একজন রোহিঙ্গা । সে গোপনে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ও বাঙ্গালীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে । রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে দেশীয় অস্ত্রের যোগানদাতা এবং ইয়াবা ব্যবসার সাথেও জড়িত । হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ , ডাকাতি ইত্যাদির ন্যায় জঘন্যতম অপরাধসমূহ সংঘটনের পরও পুতিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কোনদিন গ্রেফতার হয়নি । সে সুকৌশলে গ্রেফতার এড়িয়ে এসকল অপরাধ করে আসছিল । তিনি আরো জানান , গ্রেফতারকৃত ডাকাত পুতিয়াকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।