রাত পোহালেই ১৬ই ডিসেম্বর তথা মহান বিজয় দিবস। এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন করে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম একটি বাংলাদেশ। যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। লাখো শহীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। বাঙালির প্রাণের আবেগের এই দিনটি ঘিরে আনন্দের শেষ নেই। এদিকে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিব ভবন বর্ণিল ভাবে আলোকসজ্জা করা হয়। জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে নবনির্মিত পুরো প্রশাসন ভবন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যাতিক্রম ভাবে লাইটিংয়ের মাধ্যমে আলোকসজ্জার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে এই প্রথম থিমেটিক সিস্টেমে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসন ভবনে জাতীয় পতাকার রঙে লাল ও সবুজ রঙের লাইট দিয়ে বর্ণিল ভাবে সাজানো হয়েছে। দু'দিন ধরে থাকবে এই আলোকসজ্জা। পুরো উপজেলা প্রশাসনের ভবন এলাকায় এই আলোকসজ্জা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরাই ছিল আলোকসজ্জার মূল থিম। তিনি আরও বলেন, ‘১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য নানান কর্মসূচিও হাতে নেয়া হয়েছে। দিবসের শুরুতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চকরিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ (একত্রিশ) বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন, পরে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে ও ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, অভিবাদন গ্রহণ, ডিসপ্লে প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য/সদস্যদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি ভালো ভাবে উদযাপনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।