আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছুরিকাহত যুবকের মামলা নিতে অনীহা পুলিশের

মোঃ নুরুল আলম চৌধুরী | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১০:৩২:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

 

নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ান হাট এলাকায় ছুরিকাহত যুবকের পরিবার থেকে থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ছুরিকাহত যুবক হলেন মৃত মোঃ হোসেনের ছেলে মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৬)। তিনি দেওয়ান হাট এলাকার ২নং রেল গেইট এর পাশে ইউনুস মাঝির বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা। মোক্তার দীর্ঘদিন থেকে দেওয়ান হাট বাজারের ইজারাদারের হাসিল আদায় করেন। জানাযায়, গত ১৩ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ছুরিকাহত মোক্তারের পক্ষ থেকে ডবলমুরিং থানার এসিকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং ডবলমুরিং থানার ওসির কথামতো ছুরিকাহত মোঃ মোকতার হোসেন এর মা ৩জন জ্ঞাত এবং ৫জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় ওসির বরাবরে লিখিত এজাহার দেন। ঐসময় ডবলমুরিং থানার এসআই শাহনেওয়াজ মোক্তারের মায়ের কাছ থেকে জব্দ তালিকার মাধ্যমে আহত মোক্তারের রক্তমাখা পেন্ট জব্দ করেন এবং পেন্টটি পরের দিন রাতে ভুক্তভোগীদের ফেরত দিয়ে দেন। অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ জাকির এর ছেলে পারভেজ, কেরামত আলীর ছেলে লিটন, শাহ আলমের ছেলে জয়। তারা সকলেই ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইট এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার বিবরণ গত ১২ নভেম্বর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইটের পাশে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে দেওয়ান হাট বাজারের হাসিল আদায়কারী মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৬)এর পায়ে ছুরি মেরে গুরুতর আহত করেছেন সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেওয়ান হাট বাজারের হাসিল আদায়কারী মোঃ মোক্তার হোসেন ও তার বন্ধু ফয়সাল দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে পারভেজ, লিটন ও জয় একটি মটরসাইকেল চালিয়ে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে আহত করেন। তারা তিনজন মটরসাইকেল থেকে নেমে লিটন ও জয় মোক্তারের দুই হাতসহ চেপে ধরেন এবং পারভেজ কোমর থেকে ছুরি বের করে মোক্তারের ডান পায়ে ছুরি দিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মোক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করান। মোক্তারের মা গুলনাহার বেগম জানান আমি থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছি। আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীরা ছুরি মেরেছে তারপরও আমার মামলা থানায় নেননি। এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ওসি বলেন এই ঘটনায় ১টি মামলা নেওয়া হয়েছে তদন্ত চলছে। কোন পক্ষের মামলা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, কোনো পক্ষ বুঝি না, এক ঘটনার দুটি মামলা নেওয়া যায় না।


সবচেয়ে জনপ্রিয়