কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় ডেমুশিয়া এলাকায় ৭২ একর বিশিষ্ঠ চিংড়ি ঘেরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মোহাম্মদ আনিস (৩৬) নামে এক ঘের কর্মচারীকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত ঘের কর্মচারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থা শঙ্কাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ডেমুশিয়া ইউনিয়নের সাতঘর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত চিংড়িঘের কর্মচারী আনিস ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়া এলাকার মো: মনজুর আলমের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ডেমুশিয়া এলাকার
সাতঘর পাড়ায় ৭২ একর বিশিষ্ঠ চিংড়িঘের স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে লাগিয়ত নিয়ে মৎস্য চাষ করেন নুরুল হুদাসহ তার চারজন অংশিদার। ওই চিংড়িঘেরে ছয়কুড়িটিক্কা পাড়া এলাকার মনজুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ আনিসকে ঘের কর্মচারী হিসেবে নিযোগ করলে তিনি যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আসছিল। বিগত আড়াই মাস পূর্বে নুরুল হুদার চিংড়িঘেরে ডেমুশিয়ার সাতঘর পাড়া এলাকার মনিরের ছেলে পারভেজ, নাছিরের ছেলে মো: হোছন, বদি আলমের ছেলে তারেক, মনজুর আলমের ছেলে তমজিদকে মাছ চুরি করার সময় হাতে-নাতে আটক করেন ঘের কর্মচারী আনিস। চিংড়ি ঘেরের মাছ চুরির ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশ মিমাংসা করে তা নিস্পত্তি করা হয়। ওই মাছ চুরির ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ৬-৭ জনের একদল দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ঘের কর্মচারী মোহাম্মদ আনিসকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। পরে আহত আনিসকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন।
চিংড়িঘের চাষি নুরুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, ডেমুশিয়া সাতঘর পাড়া এলাকায় ৭২ একর বিশিষ্ঠ একটি চিংড়িঘের ওই এলাকার স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে লাগিয়ত নিয়ে আমিসহ চারজন অংশিদার মিলে মৎস্য ও লবণ চাষ করি। চিংড়ি ঘেরটি দেখভাল করেন আমাদের নিযুক্ত ঘের কর্মচারী আনিস। আড়াইমাস পূর্বে চিংড়ি ঘেরের মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে-নাতে আটক করা হয় চোরদের। এ ঘটনার জের ধরে ঘের কর্মচারী আনিসকে বুধবার সকালে হাতুড়ি ও লোহার রড় দিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে আনিসের হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়। বর্তমানে আনিস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, চিংড়িঘের কর্মচারীকে মারধর করে আহত করার বিষয়ে এখনো কেউ বলেনি এবং থানায় অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।