পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই পাহাড় কাটছে ফটিকছড়ির উদালিয়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ। চা শ্রমিকদের ব্যবহার করে পাহাড়ের মাটি কেটে নির্বিচারে পাচার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চা বাগানের ২৬ নম্বর সেকশনের গহিনে প্রায় ৪০ ফুট উঁচু একটি পাহাড় কেটে মাটিগুলো অনত্র নিয়ে যাচ্ছে। চা শ্রমিকরা জানায় উঁচু পাহাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে নতুন চা বাগানের তৈরি করার জন্য। তারা আরোও জানায় ৪/৫ দিন যাবৎ ৭/৮ জন শ্রমিক মাটি কাটার কাজ করছিল। সেখানে গত শুক্রবার দুপুরে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে সজল দাশ(১৬) নামের এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় বিজয় রায় (১৭), চন্দন দাশ (১৬), জনি দাশ (১৬) নামে আরও তিনজন শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়। বিষয়টি চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়ন ধামাচাপা দেয়। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা ও ময়নাতদন্ত হয়নি। থানা পুলিশ এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে জানতে ভূজপুর থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
উদালিয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে কোথাও পাহাড় কাটার অনুমতি নেই। উদালিয়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ পাহাড় ও মাটি কাটার ব্যাপারে কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বলেন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, চা বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টিলা-পাহাড় কাটা ও কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। উদালিয়া চা বাগানে পাহাড় কাটাতে গিয়ে মাটি ধ্বসে এক চা শ্রমিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।