আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চমেকে বহিষ্কার ইস্যু : কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছে না ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০১:৪৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ৩০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হলেও পাত্তা দিচ্ছে না ছাত্রলীগ। বহিষ্কারাদেশ ঘোষণার পর থেকে একে একে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিবদমান দুটি পক্ষ।

গত মঙ্গলবার চমেকের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ৩০ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এতেই নাখোশ বিবাদে জড়ানো পক্ষ দুইটি। একপক্ষ চমেক অধ্যক্ষ ও হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কের পদত্যাগ দাবি করেন। অপরপক্ষের দাবি, অদৃশ্য শক্তি ডা. মিনহাজের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত।

চমেকে আধিপত্য বিস্তার করা দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং অন্যপক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।বহিষ্কারাদেশ ঘোষণার পর নওফেল অনুসারীরা গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এবং সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তাদের পক্ষের বেশি নেতা-কর্মীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের অভিযোগ, চমেক অধ্যক্ষ ও হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কের যোগসাজশে এই কাজ করা হয়েছে। তাই তারা বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন।  

নওফেল অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, শিক্ষকরা আমাদের অ্যাকাডেমিক অভিভাবক। তারা যখন সবকিছু একতরফা সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমরা মনে করি তারা দায়িত্বে থাকার যোগ্য নন। তাই আমরা তাদের অপসারণ দাবি করেছি। বুধবার আমরা অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছি। তিনি স্মারকলিপি নিতে আগ্রহ দেখাননি।

তিনি বলেন, গত ২৯ ও ৩০ তারিখের ঘটনার পর মাত্র দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকার পরও কেন প্রশাসনের ব্যবস্থা নিতে এত অনিহা?

অন্যদিকে নাছির অনুসারী ছাত্রলীগের আরেক অংশের দাবি, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবরের ঘটনায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। চমেক ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে সংঘটিত এসব হামলার পেছনে চিকিৎসক নেতা আ ম ম মিনহাজুর রহমানের ইন্ধন রয়েছে। অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত চমেক ছাত্রলীগ ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে।

চমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আ জ ম নাছির অনুসারী আল আমিন ইসলাম বলেন, চমেক ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার পিছনে বহিরাগতরাই দায়ী। চমেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারাই হস্তক্ষেপ করছেন। আমাদের দাবি, তাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক।

তিনি বলেন, গত মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার অনেক চিহ্নিত অপরাধী শাস্তির আওতায় আসেনি। তাদেরও অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে। চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আমার একার নয়। দুইপক্ষের ঝামেলার ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয়। এতে যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কে কার অনুসারী সেটা দেখা হয়নি’।  

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়