চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল বাস সার্ভিস দিতে সাত দিনের সময় চেয়েছে তরী বাস চালকরা। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট এলাকায় তরী বাস চালকরা মানববন্ধনে এ কথা বলেন তরী বাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোক্তার।
এসময় চালকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগরের নিউ মার্কেট পর্যন্ত বাস সার্ভিস দিবে তরী বাস সমিতি। ৪০ সিটের বাস ব্যবহার করবো আমরা। তবে আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যকোনও বাস যেন না চলে। অন্য বাস চললে আমাদের চালক এবং হেল্পাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মানববন্ধনে তরী বাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোক্তার বলেন, ৩০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে আসছে তরী বাস। বিভিন্ন সময় মারধরের শিকার হয়েও আমরা সেবা দিয়েছি। আমাদের পেটে লাথি মারার জন্য দ্রুতযান বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। আমরা এটা মেনে নিব না। আমরা শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত সেবা দিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শহরের নিউ মার্কেট পর্যন্ত স্পেশাল সার্ভিসে ২৫ টাকা করে ভাড়া নিব।
চালকরা দাবি করেন, দ্রুতযান বাসের রুট পারমিট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হলেও বাসগুলো হাটহাজারী থেকে চলাচল করে। তাঁদের ১২০ টা বাসের মধ্যে ৪০ টা বাসের রুট পারমিট আছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমাদের কিছু বাসের রুট পারমিট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আছে আর কিছু বাসের রুট পারমিট নন্দির হাট পর্যন্ত। দ্রুতযান হাটহাজারী যেতে পারলে আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারি।
তরী বাস চালক নুর হোসেন বলেন, আমাদের সিএনজি চালিত ২৫ সিটের বাস আছে ৩০টা। ডিজেল চালিত ৪০ সিটের বাস আছে ১১টা। এছাড়াও ৩০-৩৮ সিটেরও ১৫টি বাস আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অন্যুায়ী আমরা বড় বাস দিতে পারবো। প্রয়োজনে বাসগুলো আমরা সংস্কার করে নিব।
এর আগে সোমবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত দ্রুতযান বাস সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের ঘোষণা দেয় খাগড়াছড়ি-নাজিরহাট বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। এদিন সকালে তারা বাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয় ৩ নম্বর বাস চালকরা। তাদের বাধার ফলে দ্রুতযান বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি। যার কারণে উদ্বোধন অনুষ্ঠান করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।