চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত দুই জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দুই জনকে শনাক্ত করা গেছে। তদন্তের স্বার্থে নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। দ্রুত সব আসামিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের কাজ চলছে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। রবিবারের (২৪ জুলাই) আগে আর কিছু বলতে পারবো না।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশাফি নিতু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষ বলছে, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পেরেছে। রবিবার জড়িতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে।’
চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘জড়িতরা যে দলের হোক না কেন তাদের অপরাধী হিসেবে দেখতে হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা দিয়েছি, চার কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করবো। রবিবার এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে।’
গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় এ মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় নানা আলোচনার মধ্যে গত ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন হলের ছাত্রীরা। রাত ৯টা থেকে প্রথমে বিভিন্ন হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে রাত ১টা পর্যন্ত দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।