চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কিশোর গ্যাং লিডার আহমেদ বাবু ওরফে পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ জুন ভোরে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনকে খুনের পর ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর বলেন, ‘পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (১২ জুন) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।’
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাজীর দেউড়ি ২ নম্বর গলিতে মহিউদ্দিন ও মোবারককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে মহিউদ্দিন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি দুজনকে আসামি করেছেন। পলোগ্রাউন্ডে চেম্বারের বাণিজ্যমেলায় স্টল বসানোকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত মহিউদ্দিন চান্দগাঁও থানাধীন পাটাইন্ন্যা গোদা এলাকার আবদুল মাবুদের ছেলে।
এদিকে, ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আহমেদ বাবু ওরফে পিস্তল বাবু ও তার এক সহযোগীকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, মহিউদ্দিন বিভিন্ন মেলায় স্টল নিয়ে পার্টনারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। বুধবার (৮ জুন) ঢাকা থেকে কাপড় কিনে রাতে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। ভোরে গরিবুল্লাহ শাহ মাজারে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে কাজীর দেউড়ি ২ নম্বর গলিতে আসেন। সেখানে মহিউদ্দিনের গতিরোধ করে আহমেদ বাবু ওরফে পিস্তল বাবু। খবর পেয়ে বাসা থেকে বের হন মোবারক। এসময় তাদের দুজনকেই ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বাবু।