আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামে করোনা’র নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৮ অক্টোবর ২০২২ ০২:৪০:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

করোনা’র ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর নতুন ধরন ‘এক্সবিবি’ শনাক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।  

গত তিন মাসে চট্টগ্রামের কোভিড-১৯ রোগীদের জিনোম সিকুয়েন্সিং করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাবরেটরিতে (এনরিচ)।

 

 

 

এতে দেখা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে বিএ ২ এবং বিএ ৫ এর আধিক্য দেখা গেলেও অক্টোবর মাসে সব রোগীদের মাঝে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্সবিবি’র আধিক্য ও আরেকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএম ১.১.১ এর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।  

জিনোম সিকুয়েন্সিং করে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে ষাট ভাগ রোগীর মাঝে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর নতুন ধরন ‘এক্সবিবি’ এবং চল্লিশ ভাগ রোগীর মধ্যে আরেকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএম ১.১.১’ এর উপস্থিতি।  

এক্সবিবি’তে আক্রান্ত সবাই বয়সে তরুণ এবং সবার বয়স ২০-৩৫ এর মধ্যে। এক্সবিবি পৃথিবীর ১৭টি দেশে খুব অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও হংকং।  

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এক্সবিবি ওমিক্রনের অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি কাজ করে না। এই ভ্যারিয়েন্টটি অনেকগুলো পূর্ববর্তী ভেরিয়েন্ট এর সংমিশ্রণে তৈরি বলে একে বলা হয় রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস। এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে আরেকটি করোনার ঢেউ আসতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভারতের জনস্বাস্থ্যবিদ এবং অণুজীববিজ্ঞানীরা।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনোম সিকুয়েন্সিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অণুজীববিজ্ঞানী ও চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. সেঁজুতি সাহা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. নাজনিন নাহার ইসলাম।  

ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপের প্রধান ড. আদনান মান্নান এবং এনরিচ ল্যাবের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এই সিকুয়েন্সিং কার্যক্রমে যুক্ত ছিল বিভাগের শিক্ষক ফারজানা শারমিন এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ চাকমা, সাজ্জাদ হোসেন নয়ন, সবুজ বিশ্বাস, ফারহানা ইয়াসমিন, ফাহমিদা খানম, আল শাহরিয়ার আকাশ, আশিকুর আলিম, রুবেল আহমেদ, আফসানা ইয়াসমিন তানজিনা।

সহযোগিতায় ছিল ঢাকাস্থ চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জিনোমিক্স রিসার্চ টিম। আগামি এক বছরব্যাপী সার্স কভ-২ এর জিনোম সিকুয়েন্স কার্যক্রম চলবে এই গবেষণাগারে এবং নিয়মিত ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হবে। এতে পৃষ্ঠপোষকতায় আছে সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়াগনস্টিক।

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়