সড়কে অবৈধ ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা ও জানজট নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। অর্ধেকের বেশি চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স।
৪০টির বেশি অনুমোদনহীন রুটে অবৈধভাবে চলছে নিবন্ধনহীন কয়েক হাজার গাড়ি।
সেইসঙ্গে দাঁড়িয়ে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামা এবং একই রুটের অন্য গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলছে।
সব মিলিয়ে সড়কজুড়ে যানবাহনে এখন চরম নৈরাজ্য। এসব কারণে সড়কে যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
ট্রাফিক কর্মকর্তারা বলছেন, সড়কে উন্নয়ন কাজ, সিগন্যাল বাতি না থাকা এবং চালক, মালিক ও যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে যানবাহনে পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি মাসে আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলার বিপরীতে জরিমানা আদায় করছে ট্রাফিক পুলিশ। এত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও থামছে না আইন ভঙ্গের প্রবণতা।
মহানগরীতে তিন ধরনের গণপরিবহনের জন্য ৪৬টি অনুমোদিত রুট আছে। এর মধ্যে অটো টেম্পোর রুট ১৬টি, হিউম্যান হলারের রুট ১৬টি এবং বাস-মিনিবাসের রুট আছে ১৪টি। এসব অনুমোদিত রুটের বাইরে বিভিন্ন শ্রমিক-মালিক সংগঠন আরও ৪০টি অবৈধ রুট সৃষ্টি করেছে। অনুমোদনহীন রুটে চলছে হাজারও যানবাহন। যার অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ ও বিআরটিএর নিবন্ধন নেই। এসব রুটে যাত্রী পরিবহন, যাত্রী ওঠানামায় নেই কোনো শৃঙ্খলা।
সিএমপির রুট জরিপ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গণপরিবহনে রুট অনুমোদন দেওয়া আছে ১ হাজার ১৩৪টি বাস, ১ হাজার ১৪১টি হিউম্যান হলার ও ১ হাজার ৬৬০টি অটো টেম্পোর। তবে এর বেশি যানবাহন চলছে এসব রুটে।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় প্রায় ৩ লাখ যানবাহন আছে। এর মধ্যে ২ লাখ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। প্রায় ৩০ হাজার চালকের লাইসেন্স নবায়ন হয় না দীর্ঘদিন। প্রতিদিন ১৫-২০টি নতুন গাড়ির জন্য আবেদন জমা পড়ছে।
শহরের ভেতরে নতুন কোনো সড়ক তৈরি না হওয়া এবং যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হওয়া, নতুন মার্কেট, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় চট্টগ্রাম জানজটের নগরে পরিণত হয়েছে।