আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : রবিবার ২ জুলাই ২০২৩ ০২:৪৬:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে শনিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রগুলো। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে নগরীর সড়কগুলোতে নেই পর্যাপ্ত গণপরিবহন। যে কারণে নগরবাসীকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

 

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৭০ টাকা। কোরবানির দিন তেমন দর্শনার্থী হয়নি। শুক্রবার সাড়ে ১০ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় এসেছেন। প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা একদিনে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে। এখনও পরিবার-পরিজন নিয়ে দলে দলে দর্শনার্থীরা আসছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে বিকালে ভিড় আরও বাড়বে।’

 

 

তিনি আরও জানান, চিড়িয়াখানায় ৭৩ প্রজাতির ৬২০টির বেশি প্রাণী ও পাখি রয়েছে। এ ছাড়াও শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদনের পৃথক কিড্স জোন। যেখানে দোলনাসহ বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে।

 

 

এদিকে, গণপরিবহনে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করে নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। যেগুলো আছে সেগুলো বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত যেখানে হিউম্যান হলার ভাড়া নিতো ৫ টাকা, সেখানে এখন নিচ্ছে ১০ টাকা। আবার কোনও কোনও যানবাহন আরও বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।’

 

বহদ্দারহাট সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাকিব উদ্দিন বলেন, ‘মোহরা রাস্তার মাথা থেকে রাউজান পাহাড়তলী চৌমুহনী পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশায় প্রতি যাত্রী ভাড়া ৩০ টাকা হলেও ঈদকে ঘিরে ৮০-১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে ভাড়াও বেড়ে যায়।’

 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর ইসরাফিল মজুমদার বলেন, ‘ঈদের দিন দর্শনার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও দ্বিতীয় দিন বেড়েছে। আজ (শনিবার) সকাল থেকে অনেক দর্শনার্থী ভিড় করেছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক আছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পতেঙ্গায় হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে। বসানো হয়েছে মা ও শিশু কর্নার। এ ছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও আছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। ইভটিজিংসহ যেকোনও অপরাধ ঠেকাতে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ।’

 

ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক এবং সি-ওয়ার্ল্ড পার্ক পরিচালনাকারী কোম্পানি কনকর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘ঈদের দিন দর্শনার্থী কিছুটা কম হলেও পরদিন থেকে চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে অনেক দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন। আমাদের সব রাইডগুলো সচল রয়েছে।’

 

নগরের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত নেভাল একাডেমি, প্রজাপতি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্র ঘাট, কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ জাতি তাত্ত্বিক জাদুঘর, হালিশহর সাগর পাড়। নগরীর বাইরেও জেলার ১৫টি উপজেলায় প্রস্তুত একাধিক বিনোদন কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে– সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ডের সদরে ইকোপার্ক ও ভোটানিক্যাল গার্ডেন, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, ছোট দাড়োগার হাট এলাকায় সুপ্ত ধারা ও সহস্রধারা

 

পাহাড়বেষ্টিত পর্যটন এলাকা, সৈয়দপুর সমুদ্র সৈকত, কুমিরা নৌঘাট সমুদ্র সৈকত, ফৌজদারহাট নিউ পতেঙ্গা, চন্দ্রনাথ মন্দির, ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক, ভাটিয়ারি লেক, গলফ্ ক্লাব, মীরসরাইয়ে খৈয়াছড়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকত, রাউজানে মহামুণি মন্দির, অণিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি শিশু পার্ক, বাগোয়ান কর্ণফুলী নদীর পাড়, রাউজান রাবার বাগান, ফটিকছড়ি চা বাগানেও ভিড় জমেছে দর্শনার্থীদের।



সবচেয়ে জনপ্রিয়