জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে চকরিয়া পৌর শহরের সংর্ঘষের ঘটনায় হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর, গুলিতে ফোরকানুর রহমান নামে একজন নিরীহ মানুষ নিহত ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও দলীয় সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই।
আমরা তদন্ত করে দেখেছি, সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কেউ অস্ত্রবাজি করেনি। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যুবলীগের নেতাকর্মীদের নাম জড়িয়ে অপচেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চকরিয়া শহরের জনতা শপিং সেন্টারে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলনে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু উপরোক্ত এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আবু মুছা, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অস্ত্রসহ যে গুলি করতেছে ছবি যুবলীগ নেতা বেলালের বলে প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয়। কেউ যদি অস্ত্রধারী ব্যাক্তিটি যুবলীগ নেতা বেলাল হিসেবে সঠিক প্রমাণ করতে পারে তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেন। ওইসময় ওয়ার্ড যুবলীগের পত্রিকায় যে বেলালের নাম এসেছে তিনিও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এসময় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বেলাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঘটনার দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি কোথায় ছিলাম তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন পত্রিকায় যে ছবি ছাপানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেবো। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তায় ভুগতেছি। কেউ বা কোন ব্যক্তি অস্ত্রসহ গুলির করার মানুষ আমি বেলাল প্রমাণ করতে পারলে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছি পাঁচ লাখ পুরস্কার ঘোষনা করলাম। প্লিজ, জাতির বিবেগ হিসেবে সকল সংবাদকর্মীর কাছে অনুরোধ সঠিক ভাবে তথ্য যাচাই না করে কোন নিরীহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কলম যে না যায়। আমার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া যে কোন ধরণের আর প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো না করার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেন।