বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাব ধীরে ধীরে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগর উপকূলে আঁচড়ে পড়ছে ঢেউ। গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত ৯টারদিকে ৪ নং সতর্ক সংকেত নামিয়ে হঠাৎ এক লাফে ৮ নং মহা বিপদ সংকেত দেখে যেতে বলা হওয়ায় আতঙ্কে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। এরই মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এর আগে রাত নয়টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্বীপের বাসিন্দারাসহ উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
আজ শনিবার সকালে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বিকালের দিকে আশ্রয় কেন্দ্র গুলো খুলে দেওয়া হবে বলে সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাব সাগরে দৃশ্যমান হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। সেই সাথে সাগরের ঢেউ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল পড়ন্ত বিকেল থেকে আকাশ গুমোট হয়ে আছে। ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি টেকনাফের বিদ্যুৎ ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
সেন্টমার্টিন থেকে মুঠোফোনে নুরুল আলম আরমানি জানান, দূর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্বীপবাসী সতর্ক রয়েছে। তবে হঠাৎ করে ৮ নং মহা বিপদ সংকেত দেখে যেতে বলা হওয়ায় আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সারারাত নির্ঘুম রাত কাটে দ্বীপবাসির। ধীরে ধীরে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। উপকূলে আঁচড়ে পড়েছে ঢেউ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, আবহাওয়া বার্তা পাওয়ার পর দ্বীপে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। এক প্রশ্নে দ্বীপের চেয়াম্যান মুজিব আরও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে বহিরাগত শ্রমিক রয়েছেন।