গণপরিবহনের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ না করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় নগরে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এ অবস্থায় তারা বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেজন্য দিতে হচ্ছে বেশি ভাড়া।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, হঠাৎ করেই জ্বালানির দাম বাড়লেও ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। আর লোকসান দিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়, ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত নগরে যানবাহন চলবে না।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা সড়কে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও বাস পাচ্ছেন না। জরুরি প্রয়োজনে কেউ রিকশা কিংবা সিএনজিতে চলাচল করছেন। আবার কেউ কেউ ভাড়ায় চালিত মোটরবাইক কিংবা প্রাইভেট কারে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দেখা গেছে। আবার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন অনেকে।
নগরের বহদ্দারহাট থেকে নিউমার্কেট যাবেন আবদুল খালেক। মেয়েকে নিয়ে বহদ্দারহাটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। খালেক বলেন, নিউমার্কেটের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেয়েকে দিতে যাবো। কিন্তু বাস বন্ধ। বিকল্প উপায়ে যেতে বেশি ভাড়া লাগছে। তিনি মেয়েকে নিয়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন। অর্ধেক পথ হেঁটে তারপর রিকশা নিবেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, সব গণপরিবহন মালিকদের সংঠনের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বসম্মতিতে গণপরিবহনের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত বাস না চালানোর ঘোষণা দিয়েছি।
নগরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।