কক্সবাজার শহরের কস্তরাঘাট খুরুশকুল নতুন ব্রিজের পশ্চিম পাশে মনুপাড়া এলাকায় ১৫ একর জমিতে লোক প্রশাসনের আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মাঠ যাচাই করে গেছে প্রশাসনের একটি টিম।
পরিত্যক্ত ও বিকল্প আরো অনেক জায়গা থাকতে জনবসতিপূর্ণ এলাকাটি পরিদর্শনের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। পৈত্রিক ভিটেমাটি ও জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়।
সরকারের প্রস্তাবনার চিন্তা পরিবর্তন করে অন্যত্র জমি অধিগ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
শত বছরের বসতি ও পৈত্রিক জমিতে লোক প্রশাসনের আঞ্চলিক কেন্দ্র না করার আবেদন জানিয়েছেন মো. মফিজ উদ্দিন, মো.খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. দিদারুল আলম, নাসির উদ্দিন, এম রাশেদুল হক, নুরুল কবির, ওবায়দুল হক, আব্দুস সালাম, আজিজুল হক, এম জাফর আলম, মোহাম্মদ জাহেদ, শওকত আলম, মোঃ নুরুচ্ছফা রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম, মোশাররফ, রশিদ আহমদ, আবু বকর, জাহেদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, এরশাদ উল্লাহ, আব্দুস সালাম, আমানুল হক, মো. নাসির উদ্দিন, আবু সৈয়দ, আবু বকর, রফিকুল আলম, শহীদুল আলম, নজরুল হুদা খোকন।
উদ্বিগ্ন জনগণ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানকে স্মারকলিপি দিয়েছে। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খুরুশকুল মৌজার বি.এস দাগ নং-১৫১৮.১, ১৫১৮২, ১৫১৪৭, ১৫১৫৪, ১৫১৫৩, ১৫১৫১, ১৫১৫৬, ১৫১৫২, ১৫১৫৭, ১৫১৫৮, ১৫১৩৩, ১৫১৩৯, ১৫১৪১, ৫১৪৯, ১৫১৪৮, ১৫১৫৯, ১৫১৪৩, ১৫১৩৮, ১৫১৩০, ১৫০০৬, ১৫০০৭, ১৫০০৮, ১৫০১১, ১৫০১২, ১৫০১৩, ১৫০১৪, ১৫০১৫, ১৫০১৬, ১৫০১৭, ১৫০১৮, ১৫০১৯, ১৫০২০, ১৫০২১, ১৫০২২, ১৫০২৩, ১৫০২৪, ১৫০৩৭, ১৫০২৫, ১৫০২৬, ১৫০৩৫, ১৫০৩৬, ১৫০৩২, ১৫০৩১, ১০০০১, ১০০০২, ১০০০৩, ১০০০৪, ১০০০৫, ১০০০৬, ১০০০৭, ১০০০৮, ১০০০৯, ১০০১০, ১০০১১, ১০০১২, ১০০১৩, ১০০১৪, ১০০১৫, ১০০১৬, ১০০১৭, ১০০১৮, ১০০১৯, ১০০২০, ১০০২১, ১০০২২, ১০০২৩, ১০০২৪, ১০০২৫, ১০০২৬, ১০০২৭, ১০০২৮, ১০০২৯, ১০০৩০, ১০০৩১, ১০০৩২, ১০০৩৩, ৯৯৯৭, ৯৯৯৮, ৯৯৬৭, ৯৯৭৫ দাগাদির আন্দর জমির পরিমান ১৫.০০ একর।
অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবকৃত জমি ডোবা ছিল। জমির মালিকরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বরাটের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে। বেশিরভাগ ক্রয় ও ওয়ারিশসূত্রে জমির মালিক।
যারা জমি কিনেছেন তাদের প্রতি শতকে জমির দাম পড়েছে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার উপরে। জমির ভরাট, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, স্থাপনাসহ জমির উন্নয়নে প্রতিশতকে খরচ পড়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার উপরে। অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবকৃত জমিতে অনেকে সপরিবারে বসবাস করছেন। শহরতলীর কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই বসতবাড়ির জন্য জমি ক্রয় করেছেন। শত বছরের বসতিও রয়েছে এখানে। এখানকার বাসিন্দাদের বসতির বিকল্প জায়গা নাই। জনবসতিপূর্ণ এই জায়গা অধিগ্রহণ করলে এখানকার বাসিন্দারা অপূরণীয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এলাকাবাসী মনে করেন, প্রস্তাবিত জায়গা অধিগ্রহণ না করলে মানুষ উপকৃত হবে। পাশাপাশি সরকারের টাকাও সাশ্রয় হবে।