আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কুতুবদিয়ায় ইকোফিশের উদ্যোগে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার অভিযান

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২২ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৪৩:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ইউএসএআইডি অর্থায়নে পরিচালিত  প্রকল্প এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ (ইকোফিশ-২) এ্যাক্টিভিটি ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

 

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বড়ঘোপ মাতবর পাড়া সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে এ পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করে ইকোফিশ। পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেন ইকোফিশের ১০ জন ( ব্লু-গার্ড) সুনীল প্রহরী। এসময় ইকোফিশের রিচার্স এসিস্ট্যান্ট আবুল হাসনাত জীম উপস্থিত ছিলেন।

 

ইকোফিশের রিচার্স এসোসিয়েট সুলতান মাহমুদ জানান,বর্তমান বৈশ্বিক সমস্যাগুলির অন্যতম হলো প্লাস্টিক জাতীয় অপদ্রব্যের মাধ্যমে পানি দুষণ। বিশেষকরে, ভাসমান প্লাস্টিক দ্রব্যের মাধ্যমে সাগরের ইকোসিস্টেম এর ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ে। যার ফলে সাগরের উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়। তাছাড়া, দৃশ্যমান প্লাস্টিক দ্রব্যাদি ভেঙে অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকার বা অদৃশ্য মাইক্রো-প্লাস্টিক তৈরি হয়। যা খাদ্য শিকলের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে মানবদেহের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও আরও একটি সমস্যা হচ্ছে পরিত্যাক্ত জালের মাধ্যমে নদী,মোহনা বা সাগরে ভৌতিক মৎস্য আহরণ এর মাধ্যমে জীববৈচিত্রের ক্ষতি হওয়া। সচেতনতার অভাবে জেলেরা অনেক সময় অব্যহৃত জাল পানিতে ফেলে দেয়। তাই এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সকলের সচেতন হওয়া যেমন জরুরি। তেমনিভাবে সম্ভাব্য অন্যান্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

 

ইকোফিশের রিচার্স এসিস্ট্যান্ট আবু হাসনাত জিম জানান, কুতুবদিয়া উপকূলের জেলে ও জনসাধারণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই ইকোফিশের এই কার্যক্রম। এলাকার মানুষ ও সাগরের জেলেরা সচেতন না হলে সৈকতকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করা সম্ভব নয়। তিনি জানান, ইকোফিশের দশজন সুনীল প্রহরী প্রতি মাসে দু'বার এই সৈকতের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন। এটার উদ্দেশ্য মানুষকে সচেতন করা।