মঙ্গলবারে সাগরে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে কুতুবদিয়ার অন্তত ৭টি ফিশিংবোট
দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তবে গত রাত ও বুধবার সকালে ডুবে যাওয়া বোটের
মাঝি-মাল্লারা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছে বলে জানা গেছে। ৭টি বোটের মধ্যে দু‘টি বোট ইতিমধ্যে কোলে ফিরেছে। বাকি ৫টি ফিশিংবোট উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগরে বৈরি আবহাওয়ায় বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের খোরশেদ আলম,মোক্তার হোসেন,গিয়াস উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন ৪টি বোট গভীর সাগরে ডুবে যায়।
দক্ষিন ধুরুং বাতিঘর পাড়ার সাইফুল ইসলাম প্রকাশ গুন্নু মাঝির ফিশিং বোটটি
মহিপুরে ঢোকার মুখে ডুবে যায় দুপুর দুইটার দিকে। অন্যবোটের সহায়তায়
জেলেরা মহিপুর উপকূলে নামেন। একই এলাকার মাহমুদ উল্লাহর ফিশিংবোট
কর্ণফুলীর মোহনায় বাধেঁর সাথে ধাক্কায় ডুবে যায়।
এদিকে ভাসানচরে কোস্ট ফাউন্ডেশনে কর্মরত কুতুবদিয়ার সন্তান আবদুর রশিদ জানান, কুতুবদিয়া উপজেলার ইকবাল মাঝি,গিয়াস উদ্দিসহ কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১২ জন ভাসানচরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, তাঁরা সবাই সুস্থ আছে, তাদের মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে বলে জানান।
ধুরুং ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি আরিফ মোশাররফ জানান, উত্তরজোনে ৩টি ফিশিংবোট দূর্ঘটার খবর তারা জানতে পেরেছেন। তবে কোন জেলে বা মৎস্য শ্রমিকদের হতাহতের খবর পাননি।
কুতুবদিয়া মৎস্য ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাগরে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে তার এলাকার ৪টি ফিশিংবোট ডুবে গেছে। গত রাতে ভিন্ন ভিন্ন ফিশিংবোটের সহায়তায় প্রায় ৩৫ জন জেলে বাড়িতে ফিরেছে। ফিশিংবোট নিখোঁজ রয়েছে। এগুলো সনাক্তে বা উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, তাদের কাছে ৪টি ফিশিংবোট ডুবে যাবার খবর তারা পেয়েছেন। আরো থাকতে পারে তবে উপজেলা মৎস্য অফিসকে অবগত
করেননি। সাগরে বোট দূর্ঘটনায় জেলে হতাহতে কোন খবর নেই বলে জানান তিনি।