রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম শাখার ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতিকে জেএসএস সন্ত্রাসী কর্তৃক মারদরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।সোমবার (২৯আগস্ট) বেলা ১২টায় চিৎমরম বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাপ্তাই উপজেলা আ'লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন গত রবিবার দুপুর ২টায় জেএসএস একদল সন্ত্রাসী এসে চিৎমরম ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি ও বাজার ব্যবসায়ী উক্যাসিং মারমা অরূপে রানাকে দোকানে ও পরে মাঠে নিয়ে বেদম প্রহার করে। অভিযোগ পত্রে জানাযায় চিৎমরমে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আসলে উক্ত যুবলীগ সহ-সভাপতি জেএসএস সন্ত্রাসীদের খবর দেয়না কেন।তাদের খবর না দেয়ার ফলে জেএসএস সন্ত্রাসীদল কয়েক দফায় উক্ত যুবলীগ নেতাকে মারদর ও আহত করে চলে যায়। বর্তমানে সে বাসায় মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে । এদিকে কাপ্তাই উপজেলা আ'লীগ সভাপতি বলেন,৩নং চিৎমরম ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার লোকের বসবাস। এ ১৫ হাজার লোক আজ জেএসএস সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি অবস্থায় বসবাস করছে।কয়েক বছরের মধ্যে দলীয় বহু নেতাকর্মীকে গুলিকরে হত্যা ও অপহরণের মাধ্যমে গুম করে রেখেছে। এবং বহু নেতাকর্মীকে একের পর এক বেদম প্রহার করছে। উপজেলা আ'লীগ সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী নিজে ও তার পরিবারের লোকজন এ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি বলে সংবাদ সম্মলনে উল্লেখ করেন। তিনি অতি দ্রুত এ চিৎমরম চাকুয়াপাড়ায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মলনে সভাপতিত্ব করেন ৩নং ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ'লীগ সভাপতি ওয়েশ্লি মং চৌধুরী। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন আমরা কি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের নাগরিক না। আর যদি নাগরিক হতাম তাহলে চিৎমরম ১৫হাজার লোক সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি থাকত না। আজ আমরা প্রতিটা মুহূর্তে অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছি। এখানে অতিদ্রুত সেনা ক্যাম্প বসানোর দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে আরোও বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও কাপ্তাই উপজেলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক(সাবেক) প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং চৌধুরী। তিনি বলেন প্রশাসনসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে উক্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দলের পক্ষ হতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয় জানানো হয়। কিন্ত এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখা যায় নি। এসময় চিৎমরম বাজার ব্যবসায়ী, ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ'লীগ ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন এবং এলাকার সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।