আজ ২১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টার দিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্ণফুলী থানার এস আই বেলায়েত হোসেন।
গত ১০ ডিসেম্বর রাত ১১ টায় কর্ণফুলী উপজেলার খোয়াজনগরস্থ হল ২১ কমিউনিটি সেন্টারের সম্মুখ রাস্তায় কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১ নং ওয়ার্ডের ওটি আইসিইউতে ১৮ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকাল ৪.৪৫ মিনিটে মৃত্যু বরণ করে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গতকাল ২১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টার দিকে গাজীপুর আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে মামলার প্রথম আসামি মোহাম্মদ রুবেল (২৩) প্রকাশ হাট্টা রুবেল ও দ্বিতীয় আসামি মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৫) ২ ভাইকে কর্ণফুলী থানার এস আই বেলায়েত হোসেন।
তারা কর্ণফুলী উপজেলা চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ডের গফুর মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ নাছিরের পুত্র।
এবিষয়ে এস আই বেলায়েত হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়- ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ২ আসামি গাজীপুরের আশুলিয়া থানা এলাকায় অবস্থান করছিল মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে আমি ঢাকার উদ্দেশ্য গত পরশু (রবিবার) রওনা দি এবং আশুলিয়া থানার সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই এবং বাকী আসামিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলম হত্যার প্রথম ও দ্বিতীয় আসামি গ্রেফতার হওয়ায় কর্ণফুলী স্যোসাল মিডিয়ায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি খুনিদের ফাঁসির দাবি উঠেছে।
এবিষয়ে কথা হয় নিহত জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রীর সাথে তিনি দৈনিক সাঙ্গু প্রতিনিধিকে জানান " আমাদের একটাই দাবী খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি (ফাঁসি) চাই, যাতে কর্ণফুলীতে এমন নিঃসংশ খুনের ঘটনা আর না ঘটে। কোনো স্ত্রী যেন বিধবা না হয়, সন্তানেরা যেন পিতাহারা না হয়।