আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাত সদস্যের তদন্ত টিম গঠন

কর্ণফুলীতে এস আলমের চিনির গুদামে আগুন: ‘লাখ টনের চিনি পুড়ে ছাই’

মো. মহিউদ্দিন, কর্ণফুলী : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৫২:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডের একটি চিনির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

 

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলীর ইছানগর বাংলা বাজার এলাকায় অবস্থিত এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি চিনি কারখানার গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী মর্ডাণ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর শোয়াইব হোসেন মুন্সি। 

 

এ ঘটনায় গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্টিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। পরিশোধনের পর রমজানে এ চিনি বাজারে ছাড়ার কথা ছিল। 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোডাউনের বাইরে আগুন না থাকলেও ভেতরে চিনি আগুনে পুড়ছে। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে অপরিশোধিত চিনি ও চিনির কাঁচামাল আমদানি করে এ প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এ কারখানায় দৈনিক দেড় হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়ে থাকে।  

 

তবে আগুন লাগার নিদিষ্ট কারণ জানা না গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে বিকেল ৪ টা থেকে কাজ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের বিভিন্ন ইউনিট। পাশাপাশি কাজ করেছেন নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী। এতে আহত হয়েছেন কারখানার বেল অপারেটর মো. আলম (৩৭) নামে একজন। 

 

এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা। সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। 

 

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এগুলো রমজানকে সামনে রেখে আমদানি করা হয়েছিল। এখান রিফাইন্ড করে চিনিগুলো মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল।’

 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করে। পরে তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট এর একাধিক ইউনিট যোগ দেয়।

 

অগ্নিকাণ্ডের ওই কারখানায় প্রায় ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময়ে কারখানাটি চালু থাকলেও আগুন লাগার পর কারখানাটি বন্ধ করা হয়। সর্বশেষ রাত সাড়ে এগারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।



সবচেয়ে জনপ্রিয়