কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ফাজিল খাঁর হাট এলাকার ইউসুফ তালুকদার বাড়ীর সংযোগ সড়কে বাড়ী ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় মো. ফারুক ও আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি চক্র। প্রশাসনের অভিযানেও থামছেনা তাদের দখল দারিত্ব। স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটেছে। এতে করে এলাকার প্রায় ৩০০ লোকের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসন বলছেন, সরকারী ভূমি দখল করার কোন সুযোগ নেই, দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬ শ ফুট দৈর্ঘের এ সড়কের মুখে ইট দিয়ে নির্মিত গাইড ওয়াল ও সড়ক জুড়ে ইট কংক্রিট ফেলে চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছে। স্থানীয়রা সড়কের প্রস্থ ২৩ ফুট দাবী করলেও বর্তমানে সড়কটি ১০ ফুটের বেশি হবেনা। এসময় স্থানীয়রা একটি আরএস খতিয়ান আনলে সেখানে ৫২০ নং খতিয়ানের ৭২৯৪ নং দাগে “পথ” উল্লেখ দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা এস.এম ওবাইদুল্লাহ বলেন, শেখ ফারুক ও তার সহযোগিরা বাড়ীর দীর্ঘ দিনের চলাচলের এ রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। প্রথমে সড়কের দুই পাশে ঘর ও গাইড ওয়াল নির্মান করে অর্ধেক দখল করে নেয়, পরে সড়কের মাঝে ইট দিয়ে প্রাচীর নির্মান করে লোকজনের চলা চল বন্ধ করে দেয়। এই সড়ক দিয়ে এলাকার প্রায় ৩০০ লোক চলাচল করে।
তিনি আরো জানান, প্রশাসনের কাছে সড়ক দখলের অভিযোগ করায় আমার উপর হামলাও করেছে তাদের লোকজন। হামলার ঘটনায় আমি থানায় মামলাও করেছি।
স্থানীয় আবদুল হান্নান(৪৫) বলেন, সড়কটি পূর্ব পুরুষের, ২৩ ফুট সড়কের দুই পাশে দখল করতে করতে এখন আছে মাত্র ১০ ফুট, তাও গাইড ওয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়। প্রশাসনের অভিযানের পর তারা আবারো দখল করে রাখে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ ফারুক দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, সরকারী খাস জায়গা দখল করলেও আমরা এলকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য অন্যদিকে আমাদের দলিলি নিজস্ব জমি ছেড়ে দিয়েছি।
বড়উঠান ইউনিয়নের ভূমি উপ সহকারী মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম বলেন, বড়উঠান ইউনিয়নের ইউসুফ তালুকদারের বাড়ি সংযোগ সড়কে ৭ শতক সরকারি ভূমিতে বাড়ি ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দখল করে রাখলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসি। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে জোর পূর্বক বাড়ি ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত মহোদয়সহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, সরকারি ভূমি দখলে রেখে কোনো স্থাপনা গড়ে তোলার সুযোগ নেই। বড়উঠনের সড়ক দখলের াভিযোগ পেয়ে গড়ে তোলা স্থাপনা গুলো ভেঙে দিয়েছি। আবারো দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।