জনগণ কতটা উপকৃত হবে, কতটা সুফল আসবে তা বিবেচনা করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটা বিশাল প্রস্তাব পেলাম আর ওখান থেকে মোটা কমিশন খাবো সেজন্য প্রজেক্টটা নিলাম সেটা কিন্তু আমরা করি না, করি নাই।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে জাতীয় সংসদে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সাম্প্রতিক সমস্যায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পদ্মা সেতুর রিটার্ন (সুফল) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, এখানে একটা কথা বলতে পারি। আমরা এই পর্যন্ত যত প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি তাতে আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা যেটাকে আমরা সব সময় নজরে রাখি সেটা হলো উন্নয়ন। এক্ষেত্রে কোন প্রজেক্টে আমাদের রিটার্ন আসবে আমরা কিন্তু সেটার ওপর আগে নজর দেই।
তিনি বলেন, আমরা একটা বিশাল প্রস্তাব পেলাম আর ওখান থেকে মোটা কমিশন খাবো সেজন্য প্রজেক্টটা নিলাম সেটা কিন্তু আমরা করি না, করি নাই। এটা কিন্তু জিয়ার আমলে করা হয়েছে, জেনারেল এরশাদের আমলে করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার আমলে করা হয়েছে। এর বহু প্রমাণ আমাদের আছে। ২৬ জুন থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ দিনে পদ্মা ব্রিজের টোল বাবদ সর্বমোট ১শ ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা আয় হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য খুব সহজে বাজারে চলে আসছে এবং ওই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুর্নীতি হচ্ছে এমন অভিযোগকারীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে দুর্নীতির কথা যারা বলেন এই দুর্নীতির কারণেই তো সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক।
অপপ্রচারকারীদের অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে কেউ না কানে শোনে, না চোখ মেলে দেখে। যার জন্য খালি মনে করে কিছুই হয়নি, কিছুই হয়নি। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের বিষয়।