নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মতে আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। দলের মনোনয়ন বোর্ডের নির্ধারিত সময়ানুযায়ী রবিবার বিকালে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমকে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় চকরিয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মতবিনিময় সভা করেছেন নেতাকর্মীরা।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চকরিয়া থানা রাস্তার মাথাস্থ সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ নেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম এমপি'র পত্নী শাহেদা জাফর, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা নাগরিক কমিটির মনোনীত মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক, এমপি জাফর আলমের সুযোগ্য সন্তান তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় এমপি জাফর আলমের
পত্নী বলেন, দলের নেতাকর্মী ও জনগণের সাথে যার সম্পৃক্ততা নেই দল তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। এতে দু:খ পাবার কিংবা হারানোর কিন্তু কিছু নেই। একদিনে জাফর সৃষ্টি হয়নি। জামায়াত-বিএনপির দূর্ঘ ভেঙে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
চকরিয়া-পেকুয়া জনপদের তৃণমূল থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধা মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন এমপি জাফর আলম। দলের জন্য এবং এলাকার মানুষের কল্যাণে দীর্ঘকাল ধরে তিনি দলকে সুসংগঠিত করতে যে ত্যাগ ও পরিশ্রম করেছেন তা এদেশের জনগণ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারি জবাব দেবে। চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষকে সাথে নিয়ে ৭ তারিখ পর্যন্ত ভোট যুদ্ধের মাঠে থাকবো। খেলা হবে, খেলা হবে, আমরা মাঠে খেলে বিজয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ। সেই বিজয়ের অপেক্ষায় থাকবে এলাকার জনগণ। নতুন করে সেদিন চকরিয়া-পেকুয়া জনপদে ইতিহাস সৃষ্টি হবে।