কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর শোকরানা সভায় যাওয়ার পথে দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনামসহ ৪-৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এনামুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও মাহমুদুল হকসহ ৪-৫ জন দলীয় নেতা-কর্মী।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজার-১ চকরিযা-পেকুয়া আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি'র বুধবার বিকেলে পৌর বাসটার্মিনালে শোকরানা সভায় যাচ্ছিল দলীয় নেতা-কর্মীরা। ওই সময় কিছু নেতাকর্মী সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নামধরে নানা ধরণের শ্লোগান দেয়। এতে চেযারম্যান নবী হোছাইনের অনুসারী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা চালায়। এতে সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এনামুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, মাহমুদুল হকসহ ৪-৫ জন দলীয় নেতা-কর্মীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রামপুর স্টেশন এলাকায় সরওয়ার, মহসিন বাবুল ও এনামের নেতৃত্বে আমার উপর এবং আমার এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করছেন তিনি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।