আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
স্থানীয় বাসিন্দাকে তুলে নিয়ে মারধর, চাঁদাবাজির অভিযোগ

কক্সবাজারে বিজিবির দুই সদস্যসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:২২:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

উখিয়ার রাজাপালং দরগাহ বিল এলাকায় জিয়াউল কমর নামক যুবককে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর, চাঁদাবাজির অভিযোগে বিজিবির ২ সদস্য ও একজন স্থানীয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। 

 

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (উখিয়া) আদালতে মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই জিয়াউল হক। যার সিআর মামলা নং-৮৮৭/২০২৩। 

 

আসামিরা হলেন, ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ রেজু আমতলী বিওপিতে কর্মরত ল্যান্স নায়েক রাজিব ভুইয়া, সিপাহি মোঃ ইমরান শরীফ ও টাইপালং এলাকার বাসিন্দা আবদুল্লাহর ছেলে সোহেল। মামলার বাদি রাজাপালং ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাড়ার ছৈয়দ নুরের ছেলে।

 

মামলাটি আমলে নিয়ে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কক্সবাজার সিআইডিকে নির্দেশ দেন দেন বিচারক হামিমুন তানজীম। 

 

ভুক্তভোগীর পক্ষের আইনজীবী হামিদা আক্তার মুন্নি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

 

তিনি জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর বিকালে কুতুপালং এম এস এ হাসপাতালের সামনে থেকে মোহাম্মদ আলম ও পলি নামক ২ জনকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারি বিজিবি সদস্যরা। দরগাহ বিল কবরস্থান পাহাড়ের চিপা গলিতে আটকে রাখে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় দুইজনকে ব্যাপক মারধর ও উত্যক্ত করা হয়। যুবতী মহিলাকে পাহাড়ি এলাকার জঙ্গলে দেখলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে জনরোষ টের পেয়ে বিজিবি সদস্য তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এরপর বিজিবির সোর্স পরিচয়দানকারী সোহেলের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাবাসীর উপর চড়াও হয় বিজিবি সদস্যরা। ব্যাপক লাঠিচার্জ ও মারধরের অভিযোগ উঠে। এ সময় বাজার থেকে ফেরার পথে সন্দেহজনকভাবে জিয়াউল কমরকে মোটরসাইকেল থামিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। তাতে সে মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। 

 

মামলার বাদী জিয়াউল হক অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার ভাই জিয়াউল কমরকে বিজিবি ক্যাম্পে প্রায় তিনদিন আটকে রাখে। ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা হয়। যার জিআর মামলা নং-৭৮২/২৩। এই মামলার আসামি হিসেবে জিয়াউল কমরকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। বিধিমতে কাউকে আটকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা মানা হয় নি। 

 

ঘটনার বিষয়ে জানতে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ককে ফোন করে পাওয়া যায়নি।