কক্সবাজারের খুরুশকুলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নির্মাণাধীন খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে পৌঁছান তিনি।
সেনাপ্রধান সরেজমিনে প্রকল্পটির নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
এ সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান ও ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান বলেন, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্ত ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩ হাজার ৮ পরিবারকে এখানে পুনর্বাসন করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
এ ছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, খেলার মাঠ এবং পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ বিবিধ সুবিধাদির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানান সেনাপ্রধান।
বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে শহরের সমিতি পাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩শ’ ৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যেখানে স্থায়ী মাথা গোজার ঠাঁই পাবে জলবায়ু উদ্বাস্তু ৩৮০৮টি পরিবার। প্রকল্পে থাকবে ১৩৯টি পাঁচতলা ভবন, যার মধ্যে তৈরি হওয়া ২০টি ভবনে ৬০০ পরিবারকে ২০২০ সালে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি করে ফ্ল্যাট।