উখিয়ায় দেওয়াল ধস, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও পানিতে পড়ে পৃথক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গাসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার উপজেলার জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়া জুম্মাপাড়ার মাটির দেওয়াল চাপায় আরেফা আক্তার (১০) নামে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে।
সে কালাচাঁন্দপাড়া গ্রামের মো. শাহাজানের মেয়ে এবং স্থানীয় আবদুর রহমান বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে পাহাড়ের উপরে তাদের একটি বাড়ি ছিল। পরে নতুন বাড়ি করে ওই পাহাড়ের মাটি বিক্রি করায় নিচে একটি গর্ত হয়। আর সেই গর্তে বসে খেলার সময় হালকা বৃষ্টিতে আচমকা দেয়াল ধ্বসে গেলে আরেফা দেয়ালের নিচে চাওয়া পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসককে আরেফাকে মৃত ঘোষণা করেন।
# বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্টের সি-৫ ব্লকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মোহাম্মদ হারেস (২২) নামের যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে ওই ক্যাম্পের সৈয়দ আলমের ছেলে।
টমটেমর (ইজিবাইকের) ব্যাটারি চার্জে দিতে গিয়ে তারে হাত লাগাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে হারেস। খবর পেয়ে আশেপাশের রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
#পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
পালংখালি ইউনিয়নের অন্তর্গত থাইংখালির রহমতবিল নামক স্থানে ক্যাম্প ১৪ এর এ/০৪ ব্লকের পানিতে পড়ে শিশু উমর নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৬ বছর। সে ক্যাম্প-১৪, হাকিম পাড়ার কবির আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বৃষ্টির সময় বাসার সামনে খেলাধুলা করতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে উমর পানির স্রোতে ভেসে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করেছে।
ক্যাম্প মাঝিদের সহযোগিতায় শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।