ঈদুল আযহা ও এইচএসসি পরীক্ষার কারণে সারা দেশের ৬১টি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের (পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ) তফসিল পেছানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আজ তফসিল ঘোষণা করার কথা ছিল।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, মধ্য জুলাইয়ের মধ্যে কমিশন বেশকিছু নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তফসিল দেওয়া হবে। তবে একেকটি নির্বাচন একেক সময়ে হবে। এর মধ্যে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন রয়েছে। পৌরসভা আছে ৭টি, ইউপির সংখ্যা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে ৫০টির বেশি হবে।
সংসদীয় আসনের শুনানি আজ (রোববার) শেষ হলো উল্লেখ করে জাহাংগীর আলম বলেন, কমিশন আবার বসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাইয়ের মধ্যে এটা আমরা শেষ করব।
পার্বত্য চট্টগ্রামে আসন বৃদ্ধির দাবির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের আসন সংখ্যা ৩০০টি। এর বেশি আসন বানানোর সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। এটা যখন চূড়ান্ত হবে তখন বলা যাবে বাড়বে না কমবে।
নির্বাচন কমিশনের আপ্যায়ন ভাতার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সংসদ নির্বাচনসহ কোথায় কী আছে তা দেখে প্রস্তাব দেবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।
গাজীপুর সিটি ভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সকল সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আমরা তাকে সহায়তা দেব। ইভিএম ও জনবলের সহায়তা আমরা দেব। বাকি কাজটা রিটার্নিং কর্মকর্তা করবেন।
সকল সিটি ভোট আয়োজনের জন্য ইসি প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।