কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের জাতীয় সংসদ পদপ্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদ সিআইপির প্রার্থীতা বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন।
ঋণ খেলাপির অভিযোগে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এই আদেশের কারণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকতে পারছেন না আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী।
তবে, ইসির এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে লড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সালাহ উদ্দীন আহমদ।
প্রার্থীতা বাতিলের পেছনে 'অদৃশ্য শক্তির ইশারা' দেখছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সিআইপি বলেছেন, আমি ঋণ খেলাপি নই। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের সামনে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধি নির্বাচন কনিশনকে বারবার অবহিত করার পরও অদৃশ্য কারণে আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেন। এই আদেশ দ্বারা শুধু আমাকে নয়। চকরিয়া-পেকুয়া সর্বস্তরের জনগণের প্রতি চরম অবিচার করা হলো।
এই অবিচারের প্রতিকার পাওয়ার জন্য আমি সর্বোচ্চ আদালতে আইনী লড়াই চালিয়ে যাব।
চকরিয়া-পেকুয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ করে সালাহ উদ্দীন আহমদ বলেন, কারো কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন, আমার উপর আস্থা রাখুন। ইনশাআল্লাহ আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। ৬ ডিসেম্বর ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন নৌকার প্রার্থী সিআইপি।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে সালাহউদ্দিন আহমদের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ দেন আদালত।
শুনানি চলাকালে প্রার্থীতা ফিরে পেতে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরছিলেন সালাহউদ্দিনের আইনজীবী। এক পর্যায়ে তার আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সালাউদ্দিনকে এই সুযোগটুকু দেয়া প্রয়োজন।
আপিল বিভাগ বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা চলবে কি না সেটা অর্থঋণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। আপনারা পরের দিনই হাইকোর্টে চলে আসলেন। হাইকোর্টের তো এ ক্ষমতা নেই।