চট্টগ্রামে খুন হওয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের খণ্ডিত দুটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের স্লুইসগেটের পাশ থেকে পা দুটি উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আয়াতের পা দুটি পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করলেও নিশ্চিত হতে ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখবে পুলিশ।
এদিকে আয়াতের খণ্ডিত দুই পা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাবা, দাদাসহ স্বজনরা। আয়াতের বাবা সোহেল রানা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আমার মেয়ের পা এখনও পচেনি, তার মুখ অনেক সুন্দর। আমি তার সুন্দর মুখটি দেখতে চাই। এই মুখ দিয়ে সে বাবা বাবা বলে ডাকত। কোরআন পড়ত।’
এ সময় মেয়ের মাথাসহ শেষ অংশটুকু পেতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে পিবিআইকে অনুরোধ জানান সোহেল রানা।
গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় আয়াত। পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপরে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়ক থেকে ঘাতক আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
আটকের পর পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে মুক্তিপণের উদ্দেশে অপহরণের কথা স্বীকার করেন আবির আলী। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছয় টুকরা করে সাগরপাড়ে ফেলে দেয়।
আবিরের রংপুর তারাগঞ্জ এলাকার আজমলী আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর আগে নিহত আয়াতের দাদার বাসায় ভাড়া থাকতো ঘাতক আবির।
আয়াতের স্বজনরা জানান, আয়াতের নিখোঁজের পর ঘাতক আবিরও তাদের বাসায় এসেছিল। সে আয়াতের মা-বাবাকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। এমনকি আয়াতের খোঁজে আবির নিজেও বিভিন্ন স্থানে গিয়েছিল। যার কারণে সে সন্দেহের বাইরে ছিল।
আয়াতের স্বজনদের ঘাতক আবির জানিয়েছিল, নিখোঁজের দিন তার সঙ্গে আয়াতের দেখা হয়েছিল। তাকে আদর করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আয়াতের স্বজনরা পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তাদের এ কথা জানালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আবিরকে সন্দেহ করে পিবিআই।