বাঁশখালীতে গেজেটভুক্ত বন বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে উভয়ই পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামৱা শুরু হয়,এতে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয়সহ মোট ৭ জন আহত হয়েছে।মঙ্গলবার ২২ জানুয়ারী দুপুরে এঘটনা ঘটে। বাঁশখালী ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইসরাফিল হক জানান,এক বছর পূর্বে ৮০ ঘর পাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢাল কেটে ঘর নির্মাণের বিষয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে,পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কৃত ঘরটি উচ্ছেদ করে আদালতে মামলা দায়ের করি,মামলা চলমান অবস্থায় ফের ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করার খবর জানতে পেরে বাঁশখালী থানার পুলিশ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয়দের মধ্যে থেকে এক জন লোক উস্কানি দিলে পরে স্থানীয়রা বন বিভাগের লোকজনের উপর হামলে করে এ হামলায় বনকর্মী বিষু কুমার দাশ নামে একজনসহ চার জন আহত হয়।এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান,গন্ডমারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ভূমিহীন অসহায় তাহেরা বেগম বলেন আমার স্বামী মোক্তার তিন সন্তান নিয়ে চায়ের দোকানে চাকুরী করে নানার বাড়িতে কোন মতে বসবাস করতেন,কিন্তু পরিবারের সদস্যদের তুলনায় ওই জায়গা সংকট দেখা দিলে,পরে স্থানীয় প্রতিবেশী দের সহয়তা নিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা দের দুইবারে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে নয় মাস আগে ঘরটি নির্মাণ করে ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করি,হঠাৎ আজ দুপুরে আবার ও ৫০ হাজার টাকা দাবিকরে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে পরে পুলিশ নিয়ে এসে বন বিভাগের লোকজন বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।এতে ওই গ্রামের মানুষদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। এ সময় বন বিভাগের কর্মীরা প্রতিবাদ কারীদের মারধর করা শুরু করে,এতে স্থানীয় মহিলাদের মারধর করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা,তবে পুলিশ সমস্যারা কারো গায়ে হাত তুলেনি।
অপরদিকে দিন শীলকূপ ইউনিয়নে ৭ নম্বর এলাকায় ওয়ান্টেড ভুক্ত জিয়াউর রহমান (৪৩) নামের এক আসামিকে ধরতে গেলে আসামির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাঁশখালী থানা পুলিশের এআই মংথোয়াই (৪৮)মোহাম্মদ জসিম (৪৪) ইব্রাহিম কলিল (২৮) আনোয়ার হোসেন (২৭ )পুলিশ এবং মোহাম্মদ নাছির (৩৮) নামের গ্রাম পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছে,পরে আসামি জিয়াউর রহমান (৪৩) পালাতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে তাঁকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।উল্লেখ জিয়াউর রহমানের নামে থানায় বিভিন্ন অপরাধে তিনটি মামলা আছে। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান,শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত জিয়াউর রহমান (৪৩) নামের এক আসামিকে থানা পুলিশ ধরতে গেলে সে ধরালো অস্ত্রদিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়, এতে ৫ পুলিশ সমস্যাসহ এক গ্রাম পুলিশহ মোট ৬ আহত হয়,পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আসামি জিয়াউর রহমান (৪৩)কে গ্রেফতার করা হয়,গ্রেফতার কৃত আসামি হইতে দেশী তৈরি অস্ত্র সহ দুই রাউন্ড কার্তুস উদ্ধার করা হয়,।বর্তমানে আসামি থানার হেফাজতে রয়েছে,এছাড়াও ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত জসিম উদ্দিন নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।