আনোয়ারায় ডিএপি ফার্টিলাইজার লিমিটেড এর বিষাক্ত বর্জ্যে ২৫ জন মৎস্যজীবির প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার(৮আগস্ট) সকালে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের রাঙ্গাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম এডমিন আলমগীর জলিল ও উপজেলা মৎস্য অফিসার রাশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পানি পরীক্ষা করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রাঙ্গাদিয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একর পিডিবি প্রকল্পে জায়গায় ২৫ জন স্থানীয় মৎস্যজীবি মাছে ঘেরে শতশত মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এসময় মৎস্যজীবিরা জানায় ডিএপি সারকারখানার বর্জ্যের পানি ডুকে গত ৪ দিন ধরেই এ ভাবে মাছ মরছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন নাজিম উদ্দিন, এনামুল হক, মোহাম্মদ আবদুল করিম, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ মুজিব, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ কাইছার, মোহাম্মদ হাশেম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুছা, মিলন সিংহ, চন্দন দাশসহ রয়েছে আরও ১৩ জন।
ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যজীবি নাজিম উদ্দিন বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে একাধিকবার বিষাক্ত পানি ঢুকে মাছ মারা গেলেও আমরা কখনও ক্ষতিপূরণ পাইনি। আর তাদের মৌখিকভাবে জানানোর পরও কখনও পদক্ষেপ নেননি কর্তৃপক্ষ। গত ১ সপ্তাহ ধরে ৭০ একর প্রজেক্টে ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, মাছ মরার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং মৎস্য ঘের থেকে পানি ও মৃত মাছ পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছি। পরীক্ষা করে এর কারন জানাযাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম এডমিন আলমগীর জলিল বলেন, প্রজেক্টসহ খামারীদের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনাটি শুনার পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। পানিতে কোনো বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কি কারণে মাছ গুলো মারা গেছে তা জানা যায়নি।