বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট দূর করে অধিক অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালাবে বলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা জাপানের। েসোমবার (২৯ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ প্রত্যাশার কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন তা জানতে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এসেছিলাম। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য তিনি কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে সিইসি কথা বলেছেন। এটা খুব ভালো পদ্ধতি। ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলেছেন। এ যন্ত্রের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে আশা করি।
বর্তমান ব্যবস্থার মধ্যে বড় দল নির্বাচন বয়কটের কথা বলছে, এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইতো নাওকি বলেন, তোমাদের হাতে এখনো এক বছর তিন-চার মাস সময় আছে। সরকার ও বিশেষ করে সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অধিক অংশগ্রহণমূলক করার জন্য প্রচেষ্টা চালানোর। আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন একটি ভালো নির্বাচন হবে, এটাই আমার আশাবাদ ও প্রত্যাশা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন।