গভীর সাগরে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে আজ শুক্রবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই সাগর থেকে জাল উঠিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা।
তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা আর বৈরি আবহাওয়ায় নাকাল তারা। একটানা মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাতে হবে জেলেদের। তবে এ সময়ে বরগুনার প্রায় ৪০ হাজার ৫২১ নিবন্ধিত ইলিশ জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।
বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের জেলে আমজাদ মাঝি বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় ঘাটে এসেছি। পরে ৪ দিনের জন্য সাগরে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ ধরতে পারিনি। তাছাড়া সাগরে তেমন মাছ নেই। এ বছর বলতে গেলে ইলিশের আকাল গেছে। তাই এই অবরোধের সময়সীমা কমানোর বিষয় যদি সরকার একটু নজর দিতো তাহলে আমরা উপকৃত হতাম। এছাড়া এই অবরোধকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের সাগরে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই (৬৫ দিন) সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য অধিদফতর। এই সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।