পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে 'সেবার ব্রতে চাকরি’-এই শ্লোগানে খাগড়াছড়ি জেলায় নিয়োগ যোগ্য শূণ্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে, তারা কৃষক, দিনমজুর, অটোচালক বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতেন তাহলে আজ তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশ পুলিশের মত গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেত না। এ সময় তারা মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত আইজিপি মহোদয় এবং খাগড়াছড়ি জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ উষা চিং মারমা'র মা বলেন, আমি একজন গৃহিণী। আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করেছে। আজকে আমার মেয়ে কোন ধরনের তদবির, ঘুষ ছাড়াই সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ পেয়েছে। ছোট থেকেই আমার মেয়ের পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমার মেয়ে ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। ১২০ টাকায় যে চাকরি হয় আমার মেয়ে না পেলে বুঝতেই পারতাম না। ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ।
মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করা মো: সুমন মিয়ার বাবা জানান যে, তিনি একজন কৃষক। দরিদ্র পরিবারে স্ত্রী,সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ছেলে সুমন চাকুরী পাওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত। তিনি চান যে,তার ছেলে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিক।
পুলিশ সুপার মহোদয় তার বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান এবং প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ জসীম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।