ক্রিমিয়া ব্রিজে হামলার পর সোমবার পুরো ইউক্রেনজুড়ে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
মিসাইল হামলার পরপরই এর তীব্র নিন্দা জানান বিশ্ব নেতারা। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর হয়।
হামলার পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টেলিফোনে কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রাঁ। এ নিয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি আবারও সমর্থন জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। একই সঙ্গে আজকের হামলায় হতাহতের ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন তিনি।
জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপ করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজও। জি-৭ জোট ইউক্রেনের পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, বেসামরিকদের ওপর রাশিয়ার হামলা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। এর মধ্য দিয়ে পুতিনের শক্তি নয়, বরং দুর্বলতাই প্রকাশ পেয়েছে।
মিসাইল হামলার পর মুখ খুলেছে রাশিয়ার বন্ধু চীনও। হামলার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, শিগগিরই ইউক্রেনে সহিংসতা কমবে এমনটি আশা করছে বেইজিং।
সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনের সাহসী মানুষকে যত দিন দরকার হয় সমর্থন দিয়ে যাবে ন্যাটো।
তিনি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এক টুইটে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলার পর আমি মাত্র দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে কথা বলেছি। ইউক্রেন নিজেকে ও নিজেদের জনগণকে যেন রক্ষা করতে পারে সেজন্য তাদের অর্থনৈতিক, মানবিক ও নিরাপত্তা সহায়তা দিয়ে যাব।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছে, তিনি মিসাইল হামলার ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতের পররাষ্টমন্ত্রণালয় বলেছে, তারা মিসাইল হামলার ব্যাপারে গভীরভাবে চিন্তিত। দ্রুত যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানায় তারা।