রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার মো. সাজ্জাদ (২৭) মো. সোহেল (২৮) ও ইমাম হোসেন (২৭) নামে তিন বন্ধুকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টায় রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করার কথা জানায় ভুক্তভোগী তিনজন।
ভুক্তভোগী তিনজন হলেন, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের শেখপাড়া গ্রামের মো. মানিকের ছেলে কাপড়ের দোকানের কর্মী মো. সাজ্জাদ (২৭), রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মো. দুলালের ছেলে ইমাম হোসেন (২৭) ও একই উপজেলার কামালের ছেলে মো. সোহেল।
তারা তিনজন চিকিৎসা সেবা নিতে যান রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনবন্ধু মিলে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পালোয়ান পাড়ায় মেজবানে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের উঠিয়ে নিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য ভিডিও ধারণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীদের একজন বিএনপি নেতা গেলাম আকবর খন্দকার গ্রুপের অনুসারী মো. মানিকের ছেলে সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, বাবা খন্দকার গ্রুপ করায় রাত ৮টায় অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে জিম্মি রেখে দুপুর ১টায় পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে ঘরে পাঠায়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা তিনজনকে অপহরণ হওয়ার তথ্য পেয়ে রাতে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। ৩০ নভেম্বর শনিবার সকালে তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় একটি স্কুল মাঠ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তবে এটি অপহরণের ঘটনা নয়, মোটরসাইকেল বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পেরেছি। এখনো রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শনিবার ৬টা) কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।