মিরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ১৯ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) দুপুর ১টায় করেরহাট বিট রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এলাহী, করেরহাট বিট স্টেশন অফিসার ময়েন উদ্দিন, সহকারী স্টেশন অফিসার শিবু দাস এবং ফরেস্ট গার্ড মহি উদ্দিন এর নেতৃত্বে গেড়ামারায় নির্মানাধীন ১টি দোকানে কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদের নামে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী থেকে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি। আমাদের নির্মাণাধীন দোকান ঘরের এই সারিতে সবগুলো রিজার্ভ ফরেস্ট এর জায়গা। কিন্তু মাস খানিক আগে আমার দখলকৃত জায়গায় একটি দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করি। তখন করেরহাট বিট স্টেশন অফিসার ময়েন উদ্দিন আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি তখন নগদ ২০হাজার টাকার প্রদান করি। বাকী ৮০ হাজার টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় আজ তারা আমার দোকান ঘরে ভাঙচুর চালায়।
দোকান ঘর নির্মাণ শ্রমিক মোঃ ফারুক বলেন, আমরা দুপুরে কাজ শেষ করে খাওয়ার জন্য গেলে এই সময়ে বন কর্মকর্তারা হঠাৎ আমাদের দোকান ঘর নির্মাণের জিনিস পত্র নিয়ে যায় এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়। আজকে আমরা দোকানে কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিলো।
চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিট স্টেশন কর্মকর্তা ময়েন উদ্দিন চাঁদা দাবীর বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি ওই ব্যাক্তিকে চিনি না। ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে পেরে আমরা রেঞ্জ কর্মকর্তা নেতৃত্বে অভিযান চালাই এবং যন্ত্রপাতি জব্দ করি।
এই বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এলাহী বলেন, আমরা পাহাড় কাটার খবর পেয়ে গেড়ামারায় গেলে আসার পথে রাস্তার পাশে একটি নতুন দোকান ঘর নির্মাণ হচ্ছে দেখে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্র নিয়ে আসি। পরে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। চাঁদা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে অবগত নই। তিনি আরো বলেন আমরা এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।