মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজে সাজ সাজ রব কলেজ গেইট থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস। অন্যান্য দিনের চেয়ে ভিন্ন পোশাক-হলুদ শাড়ি আর হলুদ পাঞ্জাবি পরে কলেজ এলেন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। আর এত্তোসব আয়োজনের নেপথ্যে বসন্ত ও পিঠা উৎসব। কলেজের দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশে নানা বাহারি নামের ২২ টি স্টলে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের পিঠাপুলি। স্টলগুলোতে দেখা মিলে একসময় গ্রাম বাংলায় যেসব পিঠা সচরাচর দেখা মিলতো কিন্তু কালের বিবর্তনে যেসব পিঠা হারিয়ে গেছে সেসব পিঠার।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী নিজামপুর সরকারি কলেজে বসন্ত ও পিঠা উৎসবকে ঘিরে ছিল নানা আয়োজন। এই আয়োজনে অংশ নেওয়া পিঠা স্টলগুলো হলো পিঠা ঝুড়ি, শখের পিঠাপুলি শপ, চুনচুইন্না পিড়া, হরেক রকম পিঠা ঘর, পিঠা খাইলে আইয়ুন, ফাল্গুন গ্যালারী, পিঠা বৈচিত্র্য, রংধুনু পিঠা ঘর, নানান রকম বাহারি পিঠা, গ্রামীণ পিঠা বাড়ি, পিঠার পাঁচপোড়ন, বর্ণমালা পিঠাঘর, ঝাকানাকা কেরামতি, মধুর ক্যান্টিন, নিজামপুর সরকারি কলেজ বিএনসিসি, দৈশইত্তে পিঠা, রেড় ক্রিসেন্ট পিঠা ভান্ডার, ঘরোয়া পিঠা কুটির, ফুলপুরি, পিঠাওয়ালা ও গ্রাম বাংলার পিঠাপুলি।
নিজামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এজেড এম আশরাফ খানের সঞ্চালনায় এবং অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম শামছুদ্দিন আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সদস্য ফেরদৌস হোসেন আরিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা, নিজামপুর কলেজের সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হাসান টিপু, মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যাহ চৌধুরী নাজমুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, নিজামপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম আরিয়ান, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রনি প্রমুখ। বসন্ত ও পিঠা উৎসব আয়োজনে সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন, প্রভাষক স্বাগতম বড়–য়া, নিজামপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক নাজনীন কামাল ও যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক এস এম আর ইশতেহারুল আলম।