সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কাঁচা মরিচের কেজি তো ছুঁয়েছে আড়াইশ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগি বিক্রি করছেন কেজিপ্রতি ১৬০-১৬৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। আর প্রতি কেজি পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০-২৮০ টাকা।
মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. নিয়াজ বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। এছাড়া কোরবানির ঈদের মাংস অনেকের ফুরিয়ে এসেছে। ফলে বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে বাড়ছে দাম।
এদিকে ঈদের আগে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া কাঁচ মরিচের দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। এখন এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে ক্রেতাদের ৬০-৬৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম ৫০ টাকা ছিল।
কাঁচা মরিচের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মিজানুর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার এক পোয়া কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ ৬০ টাকা বিক্রি করেছি। পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
খিলগাঁওয়ে ৭০ টাকা পোয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি করা মো. মিলন বলেন, আড়তে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। গতকাল রাতে কাঁচা মরিচের পোয়া ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। তবে আজ পাইকারিতে দাম কমায় কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
কাঁচা মরিচের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী লিটন বলেন, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের খেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে কাঁচা মরিচের। যার প্রভাব দামে দেখা যাচ্ছে। তবে কাঁচা মরিচের এমন দাম খুব বেশি দিন থাকবে না।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। গাজরের দাম কিছুটা কমলেও পাকা টমেটো গত সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাকা টমেটোর মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটির। এক কেজি বরবটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০-২৫ টাকা, পটল ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। এসব সবজি ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০-৫০ টাকার মধ্যে আছে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছ। শিং মাছের কেজি ৩০০-৪৬০ টাকা। শল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা। ঈদের পর এসব মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।
এদিকে এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০-৮০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।