চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদীতে অবস্থিত মুহুরী সেচ প্রকল্পের বাঁধের মাটি কেটে পাড় দখলে নেমেছে যুবলীগ নামধারীরা। উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাঁধের অন্তত ২শ ফুট এলাকা মাটি কেটে সমান করে সেখানে পোল্ট্রি ফার্ম করার পাঁয়তারা করছে তারা। স্থানীয় লোকজন জানায়, গত শনিবার (২৬ মার্চ) থেকে স্থানীয় যুবলীগকর্মী ফরহাদ হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, মোবারক হোসেন ও সাইফুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ মিলে স্কেভেটর দিয়ে বাঁধের মাটি কেটে পাড় সমান করছে পোল্ট্রি ফার্ম করার জন্য। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর নির্দেশে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আনসার-বিডিপির সদস্যরা মাটি কাটায় বাধা দিলে মাটি কাটার সাথে যুক্ত প্রভাবশালী ওই মহল তাদের হুমকি ধমকি দেয়। পরে গত রবিবার (২৭ মার্চ) পাউবোর ফেনী অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুন নবী মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মাটি কাটার সাথে যুক্ত চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর থানা পুুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন রকম আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। যুবলীগ কর্মী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘শনিবার আমার একটি মৎস্য খামারে পানি দেয়ার ইস্যু নিয়ে আনসার সদস্যদের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এরপর কোথায় কোন মাটি কাটা ইস্যুতে ইচ্ছে করে আমাদের নাম জড়িয়ে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।’ এদিকে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম জামিউল হিকমা। তিনি সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে তথ্য নেন। মিরসরাই উপজেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জড়িদের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’ পাউবো ফেনী অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুন নবী বলেন, ‘বাঁধের মাটি কাটার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি প্রকল্পে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের পাঠিয়েছি। সেখানে ফরহাদ নামে একজন আনসার সদস্যদের হুমকি-ধমকি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। পরে আমি বিষয়টি প্রথমে মুঠোফোনে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে জানাই এবং পরদিন থানায় দায়িদের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেই।’ জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর হোসেন মামুন বলেন,‘পাউবোর তরফ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’