আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার!

ফটিকছড়িতে অনুমোদনহীন বেকারিতে সয়লাব

সালাহউদ্দিন জিকু, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৩:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম
  • প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা সাধারণ।
  • বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
  • প্রশ্ববিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা।

ফটিকছড়িতে যত্রতত্র গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন বেকারিতে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার। এসব খাদ্য পন্য তৈরী ও বাজারজাত করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরীর ফলে হুমকির মূখে জনস্বাস্থ্য ও আশপাশের পরিবেশ। নিন্মমানের এসব বেকারী পন্য ক্রয় করে ক্রেতা সাধারণ যেমন প্রতারিত হচ্ছে, তেমনিভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে, উৎপাদিত খাবারের মান নির্ণয় ও পরিমাপ নিশ্চিত না করায় বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের গাফিলতিকে দুষছেন সাধারন মানুষ।

 

জানা যায়, উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও ১৮ টি ইউনিয়নে ছোট বড় অর্ধ শতাধিক হাট বাজার রয়েছে।  এসব হাট- বাজারে শতাধিক বেকারী খাদ্য পন্য উৎপাদনে সক্রিয়। এরমধ্যে বেশীরভাগ বেকারী পন্য উৎপাদন করছে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই।কিছু কিছু বেকারী পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নেই পরিবেশ ও বিস্ফোরক  অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। 

 

বিগত কয়েকদিনে নারায়নহাট ও চামার দিঘী এলাকার  রহমানিয়া বেকারী, নাজিরহাট পৌরসভার মক্কা বেকারী, ফটিকছড়ি সদর বিবিরহাটের বিছমিল্লাহ ও সালমা বেকারী, মাইজভান্ডার এলাকার দরবার  বেকারীসহ বেশ কয়েকটি বেকারীর কারখাকানায় গিয়ে দেখা যায় ভিতরের পরিবেশ একেবারে নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে।  কড়াইয়ে ওপর খোলা জায়গায় পড়ে আছে পন্য তৈরীর মূল উৎপাদন মন্ড। তাতে মশা মাছি আশ্রয় নিয়ে ভন ভন করছে। পাশাপাশি দূর্গন্ধ আর ময়লায় একাকার তৈল ও ঘি রাখার পাত্র গুলো। এছাড়া অপরিস্কার ও নোংরা পোষাকে পন্য উৎপাদন কাজে নিয়োজিত রয়েছে একদল শ্রমিক। বিশেষ করে শিশু শ্রমিক দিয়ে ভারী কাজ করাতে দেখাযায় কারখানাগুলোতে। অপরদিকে, রঙচঙ্গা প্যাকেটে মোড়কজাত করা পন্যের গায়ে লেখা নেই উৎপাদন ও ব্যবহারের নির্দিষ্ট তারিখ। 

 

অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশ বেকারী পন্য তৈরীতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও নিন্মমানের পাম তেল- ঘি, এমনকি পচা ডিম ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া বিশেষ পোষাক পরিধান ছাড়া পা মাড়িয়ে পন্য তৈরীর অভিযোগ বেকারীগুলোর বিরুদ্ধে।

 

এ বিষয়ে অধিকাংশ বেকারী মালিকের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ক্রেতা সাধারণের চাহিদা বিবেচনায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে   ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। কেউ কোন দিন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে বেকারী স্থাপন ও পন্য তৈরীতে সরকারী অনুমোদন বিষয়ে কেউ সদোত্তর দিতে পারেনি।

 

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অনুমোদন না নিয়ে  যত্রতত্র বেকারী স্থাপন করে পন্য উৎপাদন সম্পূর্ণ বেআইনী।  অনুমোদনহীন সবকটি বেকারীতে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনা হবে।