নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা মোটামুটি শান্ত হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এখনো আতঙ্ক রয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা থেকে মিয়ানমার ভিতর থেকে আসা অবিস্ফোরিত আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার করেছে বিজিবি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে তুমব্রু সড়কের ব্রিজ সংলগ্ন অক্ষত অবস্থায় মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয়। এই পযর্ন্ত ঘুমধুম সীমান্ত থেকে তিন দিনে ৩টি মর্টারশেল উদ্ধার করা হলো।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকার ব্রিজের পাশে অবিস্ফোরিত একটি মর্টার শেল দেখতে পায় স্থানীয়রা।পরে বিজিবির বিওপিতে খবর দিলে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে বিজিবি।এ নিয়ে ঘুমধুম সীমান্ত থেকে গত দুই দিনে ২টি সহ শনিবারের সকালে উদ্ধার হওয়া ১টি সহ মোট তিনটি মর্টারশেল উদ্ধার হলো তার মধ্যে একটি শুক্রবার সকাল সারে এগারোটার সময় সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ একটি দল নিষ্ক্রিয় করে বাকি দুটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল নিরাপদ স্থানে রেখেছে তুমব্রু বিওপির সদস্যরা। তবে বাকি ২টি কখন নিষ্ক্রিয় করা হবে সে ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ব্রিজের সংলগ্ন মর্টার শেলটি দেখে বিজিবিকে খবর দেয়ও হয়। উক্ত মর্টারশেলটি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায় বিজিবি সদস্যরা ।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি বতর্মানে শান্ত তবে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টারসেলের পড়ে থাকায় স্থানীয়রা কিছুটা আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় এই পযর্ন্ত ৩টি অবিস্ফোরিত মর্টারসেল পাওয়া গেলেও একটি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে বাকি ২ টি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে কবে কখন নিষ্ক্রিয় করা হবে সে সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটি গত শুক্রবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর ও বিজিবির বোমা বিশেষজ্ঞ দল এসে সফলতার সাথে নিষ্ক্রিয় করেছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি ঘুমধুম -মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের সামান্য ভিতরে চলা আরকান আর্মি এবং সেনাবাহিনী ও বিজিপির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে ব্যবহারিত মর্টারশেল ও গুলি নিয়ম বহিবৃতভাবে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে এসে সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে মিয়ানমার থেকে আসা ঐ মর্টারশেল গুলো অবিস্ফোরিত অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকায় এসে পড়েছে।