আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টেকনাফ আওয়ামী লীগে দ্বৈত নীতি, বঞ্চিত হচ্ছে ত্যাগীরা

ইমাম খাইর, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩০ জুলাই ২০২২ ০৬:২৮:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

 

কক্সবাজারের টেকনাফে দলীয় নেতা কর্মীদের পদ পদবী থেকে দূরে সরাতে জুড়ে দেয়া হচ্ছে 'মাদককারবারী' তকমা। একই অপরাধের দ্বৈত নীতি অবলম্বন করছে উপজেলা ও সাবেক পৌর আওয়ামী লীগ নেতারা। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহলের অনুগত্যের বিপরীতে গেলেই যে কারো উপরেই নেমে আসছে এই খেতাব। ফলে দলীয় নেতা কর্মীদের ভেতরে নেমে এসেছে হতাশা। শুরু হয়েছে বিভাজন প্রতিক্রিয়া।

 

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশে টেকনাফ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের কাউন্সিল প্রায় শেষের দিকে। এসব কাউন্সিলে বেশ কিছু নেতাকর্মী মাদক মামলার অভিযোগে কাউন্সিলর ও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার সুযোগ হারায়।

 

ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাবরাং ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার রেজাউল করিম রেজু বলেন, আমি সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তৃণমূলের সমর্থন আমার পক্ষে। কিন্তু আমাকে 'মাদক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি' উল্লেখ করে কাউন্সিলর হওয়া থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটি। অথচ মামলাটি যে ষড়যন্ত্রমূলক, তা সবাই জানে। 

 

একইভাবে টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম মানিক বলেন, শক্তিশালী মহলের ইশারায় গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে ইয়াবা মামলার আসামি বানানো হয়েছিলো। যা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আমরা দেখিয়ে আমাকে কাউন্সিলর না করলেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হামজালাকে টেকনাফ সদর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি করা হয়েছে। একটি সংগঠনে উপজেলা এমন বৈষম্য মেনে নেয়া যায়না।

 

একই অভিযোগ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কয়েক ডজন নেতা কর্মীর।

 

তাদের দাবি, সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফ থানায় দায়িত্বকালীন সময়ে বেশীর ভাগ টার্গেট বানিয়েছিলো আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনে নেতা কর্মীদের। নিরপরাধ মানুষ ধরে এনে মাদক দিয়ে চালান দেয়া, কথিত ক্রস ফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করা, প্রতিটি মিথ্যা মামলায় ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হতো। ওইসব ঘটনা বিরুদ্ধে বিগত সময়ে টেকনাফ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। অতচ এই সময়ে এসে নেতারাই ওইসব মিথ্যা মামলার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করছে। যা খুবই দুঃখ জনক।

 

এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নাই এমন কোন কিছু উচিত নয়।

 

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উখিয়া টেকনাফ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, গঠনতন্ত্রে নেই। তবে, সাম্প্রতিক  আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, চার্জশীটভুক্ত কোন আসামি দলীয় পদপদবির জন্য অযোগ্য।