আজ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে তীব্র হচ্ছে পানির সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৫ মে ২০২৩ ১০:০৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চট্টগ্রামে ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় তীব্র হচ্ছে পানি সংকট। এ গরমে এমনিতেই সুপেয় পানির চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু ওয়াসার পানির অন্যতম উৎস কাপ্তাই লেকে গত মার্চ মাস থেকে পানির স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি । এপ্রিলের শুরুতে কর্ণফুলী নদীতে কাপ্তাই লেক থেকে ভেসে আসে শেওলা। ফলে কর্ণফুলী নদীর পানিনির্ভর ওয়াসার দুটি পরিশোধনাগারে কমে যায় উৎপাদন। অন্যদিকে হালদা নদীর পানিতে দেখা দেয় স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ছয়গুণ বেশি লবণাক্ততা। এসব কারণে গত দুইমাস ধরে পানির সংকট শুধুই বেড়েছে।

 
 

 

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ওয়াসা পানি সরবরাহ করে। তবে অধিকাংশ লাইনই পুরনো। বর্তমানে নগরে দৈনিক পানির চাহিদা ৪৬ থেকে ৪৮ কোটি  লিটার। ওয়াসা চারটি পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক প্রায় ৪৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ থেকে দৈনিক ২৮ কোটি লিটার পানি। মদুনাঘাট পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি লিটার এবং মোহরা পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি লিটার।

তাই ওয়াসা রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ করলেও তাতে চাহিদা মিটছে না নগরবাসীর 

আবার কোথাও পানি মিললেও পানিতে পাওয়া যাচ্ছে অতিরিক্ত লবণাক্ততা ও শ্যাওলাযুক্ত পানি। এসব পানি ব্যবহার ও খাওয়ার অনুপযোগী।

তাছাড়া এসব পানি পান করে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত রোগে। নগরের খতিবের হাট, বহদ্দারহাট, খাজা রোড এলাকা, বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকা, কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাদুরতলা, একে খান এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ লবণাক্ততার কারণে পানি পান করতে পারছেন না। তাই এসব এলাকার বাসিন্দাদের কিনতে হচ্ছে বোতলজাত পানি।

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়