চট্টগ্রাম নগরকে পলিথিনমুক্ত করতে এবার অভিযানে নামছে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযানের কথা জানানো হয়েছে। তিনি জানান, পলিথিন, শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রীর বহুল ব্যবহারের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ভরাট হচ্ছে নগরের নালা-নর্দমা ও খাল-বিল।
এতে দূষিত হচ্ছে পানি আর ভেঙে পড়ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার পলিথিন ব্যাগ ও পলিইথাইলিনজাত দ্রব্য ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন ও মজুদ বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় জেলা প্রশাসন শীঘ্রই অভিযান পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। দূষণ ও পলিথিনমুক্ত নগর গড়তে হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত ব্যাগ, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের অবহিত করা হয়েছে।
রাকিব হাসান বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের নির্দেশনা মোতাবেক কোন প্রকার পলিথিন, শপিংব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রী আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন নিষিদ্ধ। উক্ত আইনের বিধান অনুযায়ী মহানগরীর সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপণী বিতানে পলিথিন বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার না করার জন্য বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামকে একটি পলিথিনমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা সকলকে অবহিত করেছি। এরপরও যদি কেউ সতর্ক না হয়, তাহলে আমরা কঠোর হবো। ৩১ মে পলিথিনমুক্ত নগর গড়তে আমরা সেমিনার আয়োজন করেছি।