ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে স্থবির হয়ে পড়া চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে। সোমবার (১৫ মে) ভোর সাড়ে চারটায় কর্ণফুলী নদীর প্রথম জোয়ারে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজগুলো একে একে ফিরিয়ে আনা হয় মূল জেটিতে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করায় রোববার (১৪ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট প্রত্যাহার করে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
বন্দরের জিসিবি, এনসিটি, সিসিটি, ডলফিন জেটি, ওয়াটার বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন জেটিতে আনার জন্য ২৪টি জাহাজের তালিকা করা হয়। বন্দরের নিজস্ব আঠারো জন পাইলটের তত্ত্বাবধানে ভোর সাড়ে চারটার জোয়ারের সময় এসব জাহাজ বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আনার কাজ শুরু হয়। বন্দরের পাইলট ভ্যাসেল ‘দিশারি ২’, টাগবোট কাণ্ডারী ১, ২, ৪, ৬, ৭ ও ১১ এ কাজে সহায়তা করে। প্রথমে জেটির জাহাজগুলো আসার পর বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস (লাইটারিং) শুরু হয়। শিপ মুভমেন্ট চলাকালীন এই কাজে ১০টি টাগবোট, ৩টি পাইলট ভেসেল ও ৬টি মুরিং লঞ্চ বন্দরের হারবার মাস্টার কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে শিপ মুভমেন্ট মনিটরিং করে।
সকাল আটটা পর্যন্ত ষোলটি জাহাজ বিভিন্ন জেটিতে আনা হয়েছে। এর মধ্যে কনটেইনার জাহাজ আটটি। জেনারেল কার্গোবাহি জাহাজ ছয়টি। অয়েল ট্যাংকার ২টি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এর প্রেক্ষিতে বন্দর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (১৫ মে) ভোরের জোয়ার থেকে জেটিতে জাহাজ আনা, হ্যান্ডলিং, লাইটারিং, ডেলিভারিসহ সব সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।