আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছে তরমুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৮:২০:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো রপ্তানি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল তরমুজ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (রেফার্ড) একটি কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় চালানটি রপ্তানি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সফল হলে দেশে উৎপাদিত এ ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো যাবে। এতে করে আয় করা যাবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাওয়া তরমুজগুলো উৎপাদিত হয়েছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। ওই উপজেলা কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ও নির্দেশনায় এগুলো উৎপাদন করা হয়। দুজন উদ্যোক্তা কঠোর পরিচর্যার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য এসব তরমুজ উৎপাদন করেছেন। প্রাথমিকভাবে দুই কৃষকের মোট ১৩ হাজার ৩২০ কেজি ওজনের তরমুজ রপ্তানি করা হচ্ছে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চালানটি মালয়েশিয়া পৌঁছাবে।

 
বগুড়া শিবগঞ্জ কৃষি দপ্তর থেকে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাওয়া তরমুজগুলো উপজেলার মহস্তান গ্রামের কৃষক জাকির ফরাজি ও মুকুল মিয়ার ক্ষেতে উৎপাদন হয়েছে। তাদের ক্ষেতে উৎপাদিত তরমুজ রপ্তানি করছে চট্টগ্রামের হালিশহরের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো তরমুজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। রেফার্ড কনটেইনারে চালানটি আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। একই কনটেইনারে ৮ হাজার ৭০০ কেজি টমেটোও মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের প্যাথলজিস্ট সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ উৎপাদিত হয়। এসব তরমুজ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তরমুজের চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে। এটি অত্যন্ত সুখবর। দেশে উৎপাদিত তরমুজ এভাবে বিদেশে রপ্তানি করা গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।

বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মুজাহিদ সরকার বলেন, উপজেলার কয়েকজন কৃষক নিজস্ব উদ্যোগে বিদেশে রপ্তানির জন্য তরমুজ উৎপাদন করেছে। আমরা উৎপাদনের সময় বেশ কয়েকবার তদারকি করেছি। কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। প্রথমবারের মতো দুজন কৃষকের প্রায় ১৩ হাজার কেজি তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে। তরমুজগুলো আমরা যাচাই করেছি। এগুলোতে তেমন কোনো পোকার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।