চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় মাইক্রোবাস ও শ্যামলী বাস গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মো.নুরুল আলম (৩৬) নামের এক শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার হারবাংস্থ লালব্রীজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক নুরুল আলম বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও চকরিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা এলাকার মোশতাক আহমদের দ্বিতীয় ছেলে। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বাংলা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সংসার জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জনক ছিলেন। তার সহধর্মীনি কোরালখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত।
নিহতের পরিবার ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা এলাকার মোশতাক আহমদের ছেলে ও বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নুরুল আলম মাইক্রোবাস গাড়ি যোগে তার কর্মস্থল বান্দরবান যাচ্ছিল। প্রতিমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়াস্থ হারবাং লালব্রীজ নামক এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রিবাহী শ্যামলী বাস গাড়ির সাথে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিক্ষক নুরুল আলমকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে হাইওয়ে পুলিশ তার সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে আইনানুগ প্রক্রিয়া মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে।
মহাসড়কের চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের (পুলিশ পরিদর্শক) জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতের পরিবারের আবদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত মাইক্রোবাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাতক বাসটি পালিয়ে যাওয়ার কারণে জব্দ করা সম্ভব হয়নি। বাসটির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।